ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আসন্ন যুদ্ধের যে লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল তা এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। সীমান্তের কাছাকাছি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। ব্লাড ব্যাংকও ঠিক করা হয়েছে। খবর সিএনএনের।

এদিকে তথ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের একটি দলিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের দোনবাসে ক্লোরিন ট্যাংকে ইউক্রেনের সেনাদের হামলার চেষ্টার একটি ভিডিও সামনে এসেছে।

এসব খবর যে ‘ভুয়া’ সেটা প্রমাণ করতে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর একদল সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে যান। কিন্তু সেখানে তারা গোলার মুখে পড়েন। যদিও সৌভাগ্যবশত কেউ আহত হননি।

কয়েকটি মর্টার পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনাস্টিরস্কি সবাইকে নিরাপদ জায়গায় অবস্থানের নির্দেশ দেন। এরপর নোভালুহান্সকে তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎ প্রদান করেন। এই সময়ও কয়েকশ মিটার দূরে বেশ কয়েকটি মর্টার পতিত হয়।

এলাকা ত্যাগের পূর্বে সিএনএনকে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ময়দানে সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের স্পৃহা বেশ সাহসী। যেকোনো দৃশ্যপট মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনাস্টিরস্কি বলেন, এই প্রথম তিনি গোলার সামনে পড়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখানে আসার পথে প্রত্যেক গোলাবর্ষণের শব্দ শোনার পর গাড়ি থামিয়ে আমরা মাটিতে শুয়ে আত্মরক্ষা করি।

পরবর্তীতে ক্রামাটরস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়— পূর্বে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক উপদেষ্টারা কী ধরনের ভূমিকা রাখছে বলে তারা ধারণা করছেন।

এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে রাশিয়ার প্যারামিলিটারি সদস্যদের ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হওয়ার তথ্য আছে। রাশিয়ার কয়েকটি ভাড়াটে ইউনিটও আমাদের এলাকাতে প্রবেশ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য, ‘এই অঞ্চলে নাশকতামূলক কিছু ঘটানো’।

প্রসঙ্গত ভাড়াটে সেনা হলো, রাশিয়ার প্রাইভেট প্যারামিলিটারি বাহিনী। এই বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। লিবিয়া সিরিয়া এবং আফিক্রাতেও রাশিয়ার এই ভাড়াটে বাহিনী নিযুক্ত আছে।

 

কলমকথা/ বিথী